আমার অসহায়ত্বের গুঞ্জন আর প্রতিধ্বনিত হয় না। ঠিক যেন এক হাওয়ায় করাত চালিয়ে কষ্ট গুলোকে কেটে বাতিল করার চেষ্টায় মেতেছিলাম। কিন্তু সব দুমুখো পেরেক গুলো সেখানেই রয়ে গেছে। বিষফোঁড়া টিপলে যেমন ব্যাথা আর প্রশান্তি দুটোই একসাথে অনুভূত হয়, কষ্টের সাথে ঠিক কেমন জানি সম্পর্ক এক সুতোয় গেথেছে। কেউ যদি নিজের সামনে আমাকে এনে তুলে ধরত, নিজের প্রতিবিম্বতে পেরেক গুলো নাড়িয়ে আরেকবার কষ্টের পৈশাচিক সুখ খোঁজার চেষ্টা করতাম।
আয়না টা সামনেই রেখেছিলাম যাতে একবারের জন্যও মনে না হয় আমি আমার থেকে হারিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যাকে পাহারায় বসিয়েছিলাম সে অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি এখন কোথায় গুম হয়েছি আর কেউ জানে না, ঠিক যেনো আমার কোন অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কতো অচেনা এক ছাদের নিচে সম্পর্কে বাধে, কতো চেনা সময়ের দূরত্বে আলোর বেগে দূরে সরে। এ কেমন এক সোরগোল যেখানে সবসময় একাকিত্ব মেলে?