বর্তমানে আমি কিছুটা কেন্দ্রহীন, ইংরেজীতে যেটাকে বলে, “Unfocused”। তাই এলোমেলো কিছু লিখতে চাই, ঠিক বর্তমান আমার মতোই কেন্দ্রহীন। আচ্ছা একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক, ধরো তোমার কাছে ৮৬,৪০০ ডলারস রয়েছে আর কোনো কারণে তুমি আজকে ৪০০ ডলারস লস করে ফেললে। এখন এই ৪০০ ডলারস লস এর রাগ বা অভিমান বা যেকোনো ইমোশনে কি তুমি বাকি ৮৬,০০০ ডলারস খরচ করে ফেলবে?
অবশ্যই না, রাইট? অনুরূপ ভাবে প্রত্যেকদিন তোমার হাতে ঠিক ৮৬,৪০০ সেকেন্ডস সময় থাকে, কিন্তু কোন এক মুহূর্তের ৪০০ সেকেন্ডের কোন ঘটনা বা কারো কোন খারাপ ব্যাবহারের জন্য তুমি বাকি ~৮৬ হাজার সেকেন্ড নষ্ট করে ফেলো।
আচ্ছা জানি না উপরের প্রশ্ন আর প্রশ্নে মিশে থাকা ম্যাসেজ তোমাকে কতোটা হিট করলো বা ভালো থাকতে তোমাকে কতোটা সাহায্য করবে। এক ইউটিউব শর্টস এ এটা দেখেছিলাম, ভাবলাম শেয়ার করি।
বললাম না একটু আন-ফোকাসড বর্তমানে, তাই সবকিছুই এলোমেলো যাচ্ছে। নিজেকে নিয়ে ভাবছিলাম, মানে দুনিয়ার সবচাইতে কঠিন কাজই তো নিজেকে বুঝতে পারা। আর মাইন্ড? সে যতোটা পাওয়ারফুল উল্টোপথে ততোটাই নির্বোধ আর অনেক সময় ঘাড় টেরা।
তবে একটা জিনিস বুঝলাম, “মাইন্ড” অনেকটা গাড়ির মতো, ঠিক মতো ড্রাইভ করতে জানলে তুমি যেখানে যেতে চাও তোমাকে সেই গন্তব্যেই পৌঁছাবে। কিন্তু এই মন কে নিজের অনুসারে চলতে দিলেই মুশকিল। তুমি নিশ্চয় এমন গাড়ি পছন্দ করবে না যে গাড়ি নিজের ইচ্ছা মতো চলে আর নিজের ইচ্ছা মতো জায়গায় নিয়ে যায়, তোমার গাড়ির উপরে তোমার কন্ট্রোল থাকবে রাইট?
ইদানিং কিছু জিনিস কিছু প্রশ্ন বলতে পারো এড়িয়ে চলছিলাম, অদেখা করছিলাম অনেক কিছু। কিন্তু উল্টো পথে দেখা যায় ঐ অদেখা করা জিনিস গুলো একসময় তাড়া করতে আরম্ভ করে, ছোট জিনিস গুলো অজান্তে এতো বড় আকার ধারণ করে আর ইগনোর করা সম্ভব হয় না।
সবকিছুর একটা প্রসেস রয়েছে, যেমন তুমি মস্তিষ্ক থেকে যদি কিছু ঝেড়ে ফেলে দিতে চাও সেটার ও প্রসেস রয়েছে, তুমি ইচ্ছা করলেই মাথা থেকে কিছু ডিলিট করে ফেলতে পারো না।
আচ্ছা, আবারো তোমাকে একটা টেস্ট দেই, Yah, for real this time. চলো, ৫ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করো আর তোমার টাস্ক হলো এই সম্পূর্ণ ৫ মিনিট তোমার প্রেমিকার কথা ভাবা চলবে না, কোন ভাবেই ভাবা চলবে না। দেখো কি হয়….
দেখলে তো, যেখানে তুমি ওর কথা না ভাবার চেষ্টা করছিলে কিন্তু ৫ মিনিট জুড়ে মাথায় ও ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। মস্তিষ্ককে এভাবে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়, তুমি যদি কিছু ফোর্স করে ভুলে যেতে চাইবে, দেখবে এই জিনিস দিয়েই মাথা ভরে থাকবে। ঠিক যেমন কাছে থাকতে ভালোবাসা তেমন কাজ করে না কিন্তু দূর হতেই বা ছেড়ে চলে যেতেই ভালোবাসা কয়েকশ গুন বেশি বেড়ে যায়।
তো আমি শুধু ভালো কিছুর চিন্তা করবো খারাপ কিছুকে চিন্তার বাইরে রাখবো, দেখলে, সিম্পলি এভাবে জিনিস কাজ করে না। তুমি কিছু ইগ্নোর করে চলবে, সেটা সাময়িক, সমস্যা কিন্তু গেলো না, শুধু সাময়িক অদেখা করা হলো, কিন্তু সমস্যা সেখানেই রয়ে গেলো আর হয়তো ধীরেধীরে বড় রূপ ধারণ করছে আর এক সময় আরো বেশি শক্তির সাথে তোমাকে ঘিরে ধরবে।
আসল ব্যাপার কি জানো? তুমি বা আমি কি ভাবছি আমি ভালো তুমি মন্দ, ও এতো কামায় করে, সে এতো টাকার বাইক কিনলো, অমুক এই করলো তমুক সেই করলো, Nothing Really Matters. তোমার চিন্তা ভাবনা আর অনুভূতির উর্ধ্বেও তুমি রয়েছো, চোখ বন্ধ করলেই কিন্তু তোমার অস্তিত্ব নাই হয়ে যায় না, You are still in there. আমার সব কিছুর সাথে তোমার নিজের একটা দূরত্ব রয়েছে, আর সেটা আমায় অনুধাবন করতে হবে। আমি বেঁচে রয়েছি, আমি জীবিত, That only Matters actually!
আমি রেগে তোমাকে গালি দিলাম, পরে অনুতপ্ত হয়ে বললাম, “ও আসলে ঐটা আমি ছিলাম না, আমার ভেতরের মনস্টার ছিলো”। আমি কিছু খারাপ করলে সেটা আমি করি না, ডেক্সটারের মতো আমার ডার্ক প্যাসেঞ্জার করে। কিন্তু আমি ভালো কিছু করলে সেটা আবার আমি করি। প্রথমে নির্ধারণ করো, তোমার মধ্যে কতোগুলো আত্মা বাস করছে, এটা আমি করি নাই আমার ইগো করছে, ঐটা আমার ডার্ক প্যাসেঞ্জার করলো, ভালো কিছু করলে সেটা আমি করলাম, STOP IT.
স্বীকার করতে শিখতে হবে আমার ভেতরে আর অন্য কেউ নেই, যা করছি যা ভাবছি, সব আমি ই, এটা অনুধাবন করার শক্তি আনয়ন করতেই হবে, আমি জানি এটা অনন্তকালের স্ট্রাগল, But I am working on it. আমি জানি আমার নিজের করা অনেক প্রশ্নের সঠিক আর সাবলীল উত্তর আমার কাছে নেই এই মুহূর্তে, কিন্তু আমি খুঁজছি…
আপনি কি জানেন? আপনি কত সুন্দর করে লিখতে পারেন।
ভিক্ষার লেখাটা পড়লাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্তু। এখন আর ভিক্ষা চাইতে হয়না সে ভালো আছে অন্য হাতে হাত রেখে। এমন কোন দিন/রাত নেই যে তার কথা প্রচন্ড ভাবে মনে হয় না। সে ভালো থাকুক এটাই চাই।