খুব বড় এক প্রশ্ন, মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি সত্যিই বিষণ্ণতায় ভুগছি নাকি খুবই বেশি দুখী? এই দুই ফিলিং এতোটাই একই রকম যে পার্থক্য করা বেশ মুশকিলের! তবে সেটা যেটাই হোক না কেন, এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। মনের মধ্যে খুব কমপ্লেক্স ইমোশন তৈরি হচ্ছে দিন দিন, কাজের মধ্যে এতোটাই পার্থক্য চলে আসছে নিজেকেই সাইকো বলে মনে হয় কখনো কখনো। উপরে দেখতে খুব স্বাভাবিকই থাকি, হাসি মুখ, কাজের প্রতি আগ্রহী, সর্বদা মানুষকে জ্ঞান দেই কিভাবে জীবনে উন্নতি করা যেতে পারে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে অন্য এক জগতে থেমে রয়েছি। সেই জগতে এতোটাই ব্যাস্ত যে অজান্তে সারক্ষন পরে থাকি।
আমি জানি, দুখী হওয়া খুবই সাধারণ এক ইমোশন! আপনার কাছের কেউ কষ্ট দিল বা আপনার আপনজন মারা গেল, আপনি দুখী হবেন! খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু দুখী থাকাটা স্থায়ী নয়, আপনার বাবা মারা গেলো, হ্যাঁ অনেক কষ্টের, অনেক দুঃখ পাবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছু ভুলেও যাবেন, আর দুঃখ ভেতর থেকে সরেও যাবে। কষ্টটা এক রকম থাকে না আর!
কিন্তু আমি যেটা অনুভব করছি, তাকে দুঃখ বলতে পারছি না, বছরের পর বছর যাচ্ছে প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক সময় এই অশান্তি অনুভূত হচ্ছে। হাজারো মানুষের ভীড়ে নিজেকে একা মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে এর উৎপত্তি নিজেরই সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমি একে বিষণ্ণতা ও বলতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, নানান মানুষের ইমোশন নানান টাইপের হয়ে থাকে। কেউ বিষণ্ণতা বা দুঃখে সারাদিন কাঁদে, আবার কেউ কিছুই ফিল করতে পারে না! ঠিক এমনটা হচ্ছে বোধ হয়, আমি কিছুই অনুভব করতে পারছি না আর, কিন্তু কথাও যেন সবকিছু আঁটকে যাচ্ছে, বাধা দিচ্ছে, ভাবতে দিচ্ছে না।
আমার মনে হয় খুব দ্রুত কোন থেরোপিষ্ট এর শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ, নিজেকে অনেক ব্যাস্ত রাখার চেষ্টা করি যাতে আলাদা ব্যাথা গুলো জাগতে না পারে, কিন্তু আমি দিন দিন কেন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে আমার ব্রেক আর কাজ করছে না, আমার এলোমেলো ইমোশন আর নিয়ন্ত্রণে নেই!